উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সমন্বয় সভা, মহালছড়ি উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা

উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সমন্বয় সভা, মহালছড়ি উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা

  • December 15, 2024
উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সমন্বয় সভা, মহালছড়ি উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা

কর্মসূচির তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সভার উদ্দেশ্য: স্বাস্থ্যসেবার মনোন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা। সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য শেয়ার করা। স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সঠিক বাস্তবায়নের পর্যালোচনা করা এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে লক্ষ্য নির্ধারন করা।

সভা থেকে প্রত্যাশিত ফলাফল
সভায় অংশগ্রহণকারীগণ-

  • বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
  • উপজেলা পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহী হবেন। 
  • উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার অর্জন, ঘাটতি ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
  • উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমের জন্য সম্ভাব্য ইস্যু চিহ্নিত করবেন।
  • অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে নিজেদের ভ‚মিকা চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী পরিকল্পনা করবেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন: জনাব মিল্টন চাকমা,  তথ্যায়ন সম্পাদক, উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার  ফোরাম, মহালছড়ি উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
বিস্তারিত বিবরণ: সভার শুরুতে জাবারাং কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার এবং কো-ফোকাল পার্সন বিদ্যুৎ জ্যোতি চাকমা  উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। একে একে সকল সদস্যবৃন্দ নিজেদের পরিচয় দেন। এরপর অংশগ্রহণমূলক আলোচনা সাপেক্ষে অদ্যকার সভার আলোচ্যসূচী নির্ধারণ করা হয় যা নিম্নরূপঃ

১.    খাগড়াছড়ি জেলার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের প্রকাশিত জরিপের তথ্য নিয়ে আলোচনা
২.    এন্টি মাইক্রোবিয়াল সচেতনতা বিষয়ে করণীয়
৩.    স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের করণীয় ইস্যু চিহ্নিত করা
৪.    বিবিধ

আলোচনা ও সিদ্ধান্ত: আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটি লাইন ধরে পর্যায়ক্রমে পাঠ করা করা হয় এবং সকলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় দেখা যায় জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহীতার সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জেলা পর্যায়ে ঔষধ প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে আশানুরুপ বৃদ্ধি পায়নি। জেলায় যত্রতত্র ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি হয়। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকে নিয়মের কোন মানেন না। জেলা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে  ফোরামের সদস্যদের কাছে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে এবং সে সম্পর্কে সদস্যদের ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। অত:পর নিন্মোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়-

১. ফার্মাসিস্ট কোর্স শেষ না করে কেউ যাতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি করতে না পারে সেব্যপাওে আওয়াজ তোলা
২. স্বাস্থ্য বিভাগের অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা লিফলেট তৈরী করে এন্টি মাইক্রোবিয়াল সচেতনতা বিষয়ে প্রচারণা চালানো।
৩. কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে এন্টি মাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সেশন পরিচালনার উদ্যেগ গ্রহণ করা।
৪. জেলা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের প্রতিনিধি অংশগ্রহণের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের     কাছে রেইজ করা।
৫. ফোরামের সদস্যরা যারা( নতুন,পুরাতন) আইডি কার্ড পাননি তারা ইতিমধ্যে শেয়ার করা ফরমেটের চাহিত তথ্য মোতাবেক প্রয়াজনীয় নিজ নিজ তথ্য গ্রæপে শেয়ার করে আইডি কার্ড সংগ্রহের জন্য সচেষ্ট হবেন।

শেষে অদ্যকার সভার সভাপতি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের তথ্যায়ন সম্পাদক জনাব মিল্টন চাকমা উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে সকলের সক্রিয়তা আশা পোষণ এবং সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে সভা সমাপ্ত করেন।

Citizen's Voice