স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও অংশীজনের সভা: ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও অংশীজনের সভা: ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

  • September 25, 2024
স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও অংশীজনের সভা: ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল ১১ টায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সভা কক্ষে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ-এর সহযোগিতায় রূপান্তর এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম আয়োজিত "স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও অংশীজনের সভা" অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবোধক ডাক্তার অসীম কুমার সমাদ্দার। সভায় ডাক্তার, নার্স, সেবিকা, সেবাগ্রহিতা, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের ফোকাল পার্সন শিল্পী আক্তার।

সভায় সকল অংশগ্রহণকারী নিজ নিজ পরিচয় প্রদান করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সমন্বয়ক মোঃ নাইমুল ইসলাম। তিনি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য অংশীজনদের একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ফোকাল পার্সন শিল্পী আক্তার বলেন, অংশীজন সভার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি এবং সেবাগ্রহীতাদের মতামত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রতিফলিত করার সুযোগ তৈরি হয়।

মুক্ত আলোচনায় নার্স, সেবিকা, যুব ফোরামের সদস্য ও সেবাগ্রহীতারা বর্তমান হাসপাতালের কার্যক্রম, জনবল ও পরিষেবা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো: নার্স ও সেবিকার সংখ্যা কম হওয়া, ওয়ার্ড ও ৪র্থ তলায় পরিচ্ছন্নতা সমস্যা, লিফট এবং ট্রলির ব্যবস্থাপনা, টিকিট কাউন্টার ও ডাক্তারদের সমন্বয় ঘাটতি, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, কেবিনের টয়লেট ও বেসিন সমস্যা, মেশিন ও ওষুধের পর্যাপ্ততা, এবং নাসিং স্টুডেন্টদের আচরণ। সেবাগ্রহীতারা হাসপাতালের সেবার মানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, তবে কিছু সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে মত দেন।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:

  • স্বাস্থ্যসেবার গুনগতমান বৃদ্ধি লক্ষ্যে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম, সেবাগ্রহীতা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যৌথ ফোরাম গঠন করবে।
  • নাসিং স্টুডেন্টদের ব্যবহার উন্নত করতে হবে।
  • হাসপাতালের ৪র্থ তলার তেলাপোকার সমস্যা, লিফট ও ট্রলির ব্যবস্থাপনা দ্রুত সমাধান করতে হবে।
  • টিকিট কাউন্টার ও ডাক্তারদের সমন্বয় ঘাটতি দূর করতে হবে।
  • পানি, পরিচ্ছন্নতা ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করতে হবে।
  • কেবিনের টয়লেট, বেসিন এবং চুরি প্রতিরোধ করতে হবে।
  • মেশিন ও ঔষধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে।
  • রোগীদের পরিবারের অসতর্ক আচরণ রোধ করতে হবে।

সভাপতি ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সীমিত মানব ও আর্থিক সম্পদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি উপস্থিত সকলকে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সুষ্ঠ আচরণ বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, সভা স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, অংশীজনদের মতামত গ্রহণ এবং হাসপাতালের কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।

 

Citizen's Voice