

সলিডারিটি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের যৌথ উদ্যোগে ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন করা হয়। এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে মোরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল, ফ্রেন্ডশিপ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ, সলিডারিটি, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম, নার্স প্রশিক্ষণার্থী ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধিরা। মোট প্রায় ৬৫ জন অংশগ্রহণকারী এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি শুরু হয় সকাল ৯:৩০ মিনিটে সিভিল সার্জন অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি এর মাধ্যমে, যা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন।
সভায় প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শামসুন নাহার পারভিন। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যই সম্পদ, আর এই সম্পদ আমাদের সবার প্রয়োজন।
এরপর মোরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের উপ-প্রধান শ্রী অরবিন্দ চন্দ্র রায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মোরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্র চক্ষু সমস্যায় ভুগছেন এমন অসহায় মানুষের পাশে কাজ করছে। হাসপাতালটি বিনামূল্যে চক্ষু ও ছানি অপারেশন, চশমা বিতরণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সহ-সভাপতি মিসেস মালা দেব বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, "স্বাস্থ্য আমাদের মৌলিক অধিকার এবং সকল সুখের মূলভিত্তি। কিন্তু আমরা তা যথাযথভাবে গুরুত্ব দিই না। আমরা লক্ষ্য করি, প্রত্যন্ত এলাকার রোগীরা হাসপাতালে এসে দালালদের হাতে পড়ে অনেক টাকা খরচ করেও পূর্ণ সেবা পান না। আমরা চাই, হাসপাতালে ওষুধের সরকারি তালিকা দৃশ্যমানভাবে টানানো থাকুক এবং সেই অনুযায়ী দরিদ্র রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করা হোক।" তিনি আরও বলেন, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দায়বদ্ধতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে সেবায় প্রবেশাধিকারের উন্নয়ন ও হাসপাতালগুলোকে জনগণমুখী করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, "যেদিন দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে, সেদিন বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করবে," ।

এরপর সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক এস. এম. হারুন অর রশিদ লাল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছে। আমরা বলতে পারি না যে সেবা নেই, কিন্তু সেবার মান এবং পরিমান এবং সেবা দেওয়ার গতি বিভিন্ন পর্যায়ে আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন। আমরা সবাই মিলে কাজ করব যেন মানুষ সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা পায় ও দিতে পারে - এটাই আমাদের আজকের অঙ্গীকার।"
Citizen's Voice